রাজনীতি

সরকারকে জনগণের মনের ভাষা বুঝতে হবে : ফারুক

সরকারকে জনগণের মনের ভাষা বুঝতে হবে : ফারুক


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আসলে আপনারা চাচ্ছেনটা কী?একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, যার সুনাম সারা বিশ্বব্যাপী, তিনি আসলে চাচ্ছেনটা কী? মানুষের চাওয়া একটাই, সেটা হলো- নির্বাচনের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি আপনার কাজ করে যাবেন, আপনার কাছে আমাদের পাওয়ার যে বিষয়টা সেটি হলো- একটি অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ। জনগণের মনের ভাষা আপনাকে বুঝতে হবে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির উদ্যোগে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ১৬ বছর যে দাবির জন্য হামলা,মামলা উপেক্ষা করে আমরা লড়াই করছি। যে লড়াই করতে গিয়ে আমরা ইলিয়াস আলীকে হারিয়েছে, চৌধুরী আলমকে হারিয়েছি সেই দাবিটাই হলো একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচন নিয়ে এত তালবাহানা কেন? কেন আজকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে আপনার মতো গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে বলেছেন যে, বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই।

জনগণ হতাশ মন্তব্য করে সাবেক এই বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, গতকাল সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, পেঁয়াজের দামও বাড়ানো হয়েছে। জনগণ সুখে নেই, তারা সুখ চায়। সেই সুখটা হলো বর্তমান সরকারের অধীনে শাহাবুদ্দিনের মতো একটি নির্বাচন হোক, সেই নির্বাচনে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে তারা সরকার গঠন করে বাকিটুকু সংস্কার করবে। আপনার সরকারের প্রয়োজন নির্বাচন সুষ্ঠু করার সংস্কার। আপনার বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না, রাজপথে দাঁড়াতে চাই না। কার বিরুদ্ধে রাজপথে নামবো, হাসিনা তো নেই।

ফারুক বলেন, ১/১১ এর মতো পরিস্থিতি কেউ যদি আবার সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে প্রয়োজনে আমরা আবার রাজপথে নামবো। বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।বিএনপিকে আবার নিশ্চিহ্ন করতে যদি কেউ কোনো পরিকল্পনা করে, বাংলার মাটিতে সেটি কখনও সফল হবে না, হতে দেওয়া হবে না।

জামায়াতের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা আপনাদের নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে, তাদেরকে ক্ষমা করার কথা আপনারা কী করে বলেন? যার হাতে গণতন্ত্র, দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জবাই হয়েছে, যারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে আয়না ঘরে নিয়ে নির্যাতন করেছে, তাদের তো ক্ষমা করার প্রয়োজন নেই। তারা কখনও আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসতে পারবে না।

দলের সভাপতি এস এম শাহাদাত হোসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জোটভুক্ত এনডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, ওলামা দলের মাওলানা আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।