বাংলাদেশে বিদ্যমান ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে যারাই চেষ্টা করবে, তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে এ বছর শারদীয়া দুর্গাপূজা শুরু হবে। ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী এবং প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পরিস্থিতি আমরা যেটা লক্ষ্য করছি, বিভিন্নভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য কিছু চক্রান্ত গড়ে উঠছে। এমনকি স্বধর্মের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের এমন কিছু ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যার সবকিছুর একটা উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনকে যাতে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এটার সবকিছুর সাথে কিন্তু বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রশ্ন জড়িত। সেজন্য আমরা মনে করেছি যে, যথেষ্ট সময় আগে থেকে যেন এগুলোর ব্যাপারে সতকর্তা অবলম্বন করি এবং সহযোগিতার হাত বাড়াই।
তিনি বলেন, আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে এই বার্তা দিতে চাই যে, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সবসময় আমরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকব। তাদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উপযাপনের জন্য অতীতেও আমরা সহযোগিতা করে এসেছি। নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে গত বছর দুর্গাপূজা সম্পন্নে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা দেশের সব জায়গায় পাহারায় রত ছিল এবং সর্বোত্তম সহযোগিতা করেছে। এবারও আমরা জাতির কাছে এই বার্তাটা দিতে চাই যে, বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে। বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে যারাই চেষ্টা করবে, তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। সে ব্যাপারে সরকারের অবশ্যই উদ্যোগ ও দায়িত্ব আছে। তারপরও আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয় এবং সম্প্রীতি বজায় থাকে, সেজন্য বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক এবং রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমরা নিজেরা এবং আমাদের দলের সবাই সর্বোচ্চ চেষ্টা ও সহযোগিতা করবে।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সঞ্জয় দে রিপন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।