বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্ম দিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের বিতর্ক। দেশের একমাত্র আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত বিসিবির চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ডিপিএল বিতর্ক ঘিরে বিসিবির আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি- এমন দাবি দেশের একটি গণমাধ্যমের।
ঘটনার সূত্রপাত ডিপিএলে মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের শাস্তি ঘিরে। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে তর্কে জড়ান হৃদয়। মাঠে এবং ম্যাচের পরেও আম্পায়ারদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। নিয়ম অনুযায়ী, এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পর আরও এক ম্যাচে মাঠের বাইরে থাকার কথা হৃদয়ের। কিন্তু বিসিবির আম্পায়ার্স বিভাগ টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তার নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে ফেলে।
আর এখানেই বাধে বিপত্তি। এই সিদ্ধান্তে আম্পায়ারদের মর্যাদা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মনে করেন শরফুদ্দৌলা। নিজের সম্মান ও পেশাগত নৈতিকতার জায়গা থেকে বিসিবির চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এই অভিজ্ঞ আম্পায়ার।
বিসিবির এক সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি বোর্ড পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং আজকের সভায় তা আলোচনায় আসার কথা। যদিও শরফুদ্দৌলা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি। তবে জানা গেছে, তার সিদ্ধান্ত বেশ দৃঢ়।
শুধু শরফুদ্দৌলাই নন, আম্পায়ারিংয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপে আগেও পদত্যাগ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এনামুল হক। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন দেশের সেরা আম্পায়ারও।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই ঘটনা নতুন করে শৃঙ্খলা আর স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলে দিল। সম্মান ও ন্যায়বিচারহীন এই পরিবেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আম্পায়ারের অপমান নিঃসন্দেহে দেশের ক্রিকেটের জন্য অশনিসংকেত।