অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দৌড়ে নতুন উত্তেজনা এসেছে মার্কাস স্টয়নিসের মাধ্যমে। নিউজিল্যান্ড সফরের তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় এবার স্টয়নিসের সামনে সুযোগ এসেছে নিজেকে প্রমাণ করার, বিশেষ করে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা করার লক্ষ্য নিয়ে।
স্টয়নিস অজি নির্বাচকদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছান, যার ফলে তাকে সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজে খেলান হয়নি। তবে তার এই বিরতি বিশ্বকাপের দাবিতে কোনো প্রভাব ফেলেনি।
অন্যদিকে, আরেক অজি স্পেন্সার জনসনের জন্য এই সময়টা নিরাশাজনক। বামহাতি পেসার জনসন গত আইপিএলে চোটে আক্রান্ত হওয়ায় বছর শেষ পর্যন্ত মাঠে ফিরতে পারছেন না। জনসন মূলত মিচেল স্টার্কের উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত ছিলেন, কিন্তু এখন সেই পরিকল্পনা স্থগিত। নির্বাচক চেয়ারম্যান জর্জ বেইলি জানিয়েছেন, ‘জনসনের ফিটনেস নতুন বছরে ফিরে আসা পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। তবে আমরা আশা করছি তিনি দেশি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বছর শেষে প্রভাব ফেলতে পারবেন।’
এদিকে অজি দলে স্টয়নিসের লক্ষ্য হবে মিডল অর্ডারে ফিনিশিংয়ের দায়িত্ব নেওয়া, যদিও তাঁর মিডিয়াম পেস বোলিংও দলের জন্য সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া ম্যাথু শর্ট আঘাত থেকে ফিরে নিউজিল্যান্ড সফরে অংশ নিচ্ছেন। তার পারফরম্যান্সও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে মিস করেছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের তিনটি ম্যাচ হবে অক্টোবরের ১, ৩ ও ৪ তারিখে। এরপর ভারতকে নিজেদের মাটিতে পাঁচটি টি-টোয়েন্টিতে আতিথেয়তা দিবে অস্ট্রেলিয়া, যা বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড নির্ধারণের আগে শেষ প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হবে। অস্ট্রেলিয়া ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে তিনটি ম্যাচ খেলবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে।
অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড (নিউজিল্যান্ড সফর):
মিচেল মার্শ (ক্যাপ্টেন), শন অ্যাবট, জাভিয়ের বার্টলেট, টিম ডেভিড, বেন ডুয়ার্সহুইস, জশ হ্যাজলউড, ট্র্যাভিস হেড, জশ ইংলিশ, ম্যাট কুনেম্যান, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল ওয়েন, ম্যাথু শর্ট, মার্কাস স্টয়নিস, অ্যাডাম জাম্পা।