কলম্বোর সিংহলী স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে শুরুর সেই সিদ্ধান্ত কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় থেকেই গেছে প্রথম সেশনের পর। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬ ওভারে ৭১ রান ২ উইকেটের বিনিময়ে।
শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের ৫ম ওভারেই অফ স্টাম্পের বাইরের বলে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হয়ে যান ওপেনার আনামুল হক। খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। এরপর চাপের মধ্যে হাল ধরেন শাদমান ইসলাম ও মমিনুল হক। দুই বাঁহাতির ব্যাটে আসে ৩৮ রানের এক স্থিতিশীল জুটি। তিনটি চারের সাহায্যে ২১ রান করে মমিনুল যখন সেট হচ্ছিলেন, তখনই ধাক্কা দেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তার অফ স্পিনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মোমিনুল (২১)।
এতদসত্ত্বেও ব্যাট হাতে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন শাদমান ইসলাম। ৮৬ বল মোকাবেলা করে অপরাজিত আছেন ৪৩ রানে, ইনিংসে ইতোমধ্যে হাঁকিয়েছেন ৭টি চার। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, যিনি আগের টেস্টে করেছিলেন জোড়া সেঞ্চুরি। আজ লাঞ্চ পর্যন্ত ২১ বলে ৭ রান করে খেলছেন তিনিও। শেষ বলে অল্পের জন্য রান আউটের ফাঁদে পড়তে যাচ্ছিলেন শাদমান, তবে দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় বেঁচে যান তিনি।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশ করেছে ৭১ রান, হারিয়েছে ২টি উইকেট। রানরেট ২.৭৩। কিন্তু উইকেটের পরিস্থিতি আর ব্যাটসম্যানদের ধৈর্যের পরীক্ষা বিবেচনায় এটি ‘সমানে সমান’ সেশন বলাই যায়।
বল হাতে শ্রীলঙ্কার পক্ষে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার আসিথা ফার্নান্ডো এবং স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। আসিথা ৭ ওভারে ২ মেডেনসহ ১৪ রানে ১ উইকেট এবং ধনাঞ্জয়া ৪ ওভারে ১৩ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট।
লাঞ্চের পরপরই বাংলাদেশকে বড় স্কোরের পথে যেতে হলে এই জুটি—শান্ত ও শাদমান—কেই বড় ইনিংস গড়তে হবে। কারণ সামনে অপেক্ষায় আছে শ্রীলঙ্কার দুই অভিজ্ঞ স্পিনার জয়াসুরিয়া ও রথনায়েকা।