স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার স্বপ্ন ছিল নতুন মৌসুমেই ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে ফেরার। তবে সেটি হয়নি যার ফলে লা লিগার প্রথম তিনটি ম্যাচই খেলতে হয়েছে অ্যাওয়ে মাঠে। আশা ছিল আন্তর্জাতিক বিরতির পর ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচ দিয়ে ঘরে ফেরার। কিন্তু সেই স্বপ্নও পূরণ মনে হয় হচ্ছে না ইয়ামাল-পেদ্রিদের।
নির্ধারিত সময়ের পরও মিলছে না চূড়ান্ত নির্মাণ অনুমোদনের কাগজপত্র। ফলে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি সেই প্রতীক্ষিত প্রত্যাবর্তনের দিন হয়ে উঠছে না বলেই ধরে নিচ্ছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার পর্যন্ত বার্সা এখনো পায়নি ফাইনাল কনস্ট্রাকশন সার্টিফিকেট—যা ছাড়া দখল অনুমতি কিংবা নিরাপত্তাজনিত অন্যান্য লাইসেন্স মিলবে না। সোমবারের মধ্যে এ নথি হাতে আসতে পারে বলে আশাবাদ থাকলেও বাস্তবে সেটি বেশ অনিশ্চিত। ফলে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে ক্লাবের মধ্যে তৈরি হয়েছে সংশয়।
এমন পরিস্থিতিতে বার্সা প্রস্তুত করছে বিকল্প পরিকল্পনা। জরুরি প্রয়োজনে ম্যাচ আয়োজন করা হবে এস্তাদি ইয়োহান ক্রুইফে। ৬ হাজার আসন ধারণক্ষম এই ভেন্যু মূলত বার্সার রিজার্ভ দল ও নারীদের ম্যাচের জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী অন্তত ৮ হাজার আসন থাকা বাধ্যতামূলক, বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম করার সুযোগ রয়েছে। এর আগে এখানেই আয়োজিত হয়েছে জোয়ান গ্যাম্পার ট্রফি।
ক্লাব জানিয়েছে, সোমবার বা মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ভেন্যু। কারণ ভেন্যু চূড়ান্ত না হলে টিকিট বিক্রি, প্রযুক্তিগত সেটআপ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আয়োজন করা সম্ভব নয়।
সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে, আরও একবার পিছিয়ে যাচ্ছে বার্সেলোনার ক্যাম্প ন্যুতে ফেরার দিন। কাজ এগোচ্ছেই, কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদন না আসা পর্যন্ত বিখ্যাত মাঠটিতে নামতে পারবে না ফ্লিকের শিষ্যরা।