গলে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টেস্ট। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্তটা শুরুতে ইতিবাচক মনে হলেও, শুরুর সেশনেই চাপে পড়েছে সফরকারী টাইগাররা। লাঞ্চের সময় স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেটে ৯০ রান—প্রথম সেশনটা বলতে গেলে দোলাচলে কেটেছে বাংলাদেশের।
অভিজ্ঞদের ভরসা নিয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেননি টাইগাররা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান এনামুল হক বিজয়, শূন্য রানে তাকে ফেরান আসিথা ফার্নান্দো। এরপর কিছুটা ধৈর্য ধরেছিলেন সাদমান ইসলাম ও মমিনুল হক, তবে সেই জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। একপ্রান্ত আগলে রাখা সাদমান ১৪ রানে থেমেছেন থারিন্দু রত্নায়েকের ক্যারিয়ারের প্রথম শিকার হয়ে।
তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা আসে মমিনুলের আউটে। সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন তিনি—৪টি চারে ২৯ রান করেন মাত্র ৩৩ বলে। তাকেও ফেরান টেস্ট অভিষেক হওয়া ‘অ্যাম্বিডেক্সট্রাস’ স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকে, যিনি ডান এবং বাঁ-হাতে বল করতে পারেন। প্রথম সেশনেই ১০ ওভারে ৫২ রানে ২ উইকেট নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি।
৩ উইকেটে ৪৫ রান তুলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় অধিনায়ক শান্ত এবং অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম কিছুটা স্থিতি ফেরান ইনিংসে। শান্ত ৪৩ বলে ২৫ রানে অপরাজিত, মারেন ৩টি চার ও একটি ছয়। মুশফিক রয়েছেন ২০ রানে অপরাজিত, খেলেছেন ৩১ বল। দু’জনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই কিছুটা ভরসা ফিরে পেয়েছে সফরকারীরা।
প্রথম সেশনে ২৮ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৯০ রান, হারিয়েছে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
তিনটি উইকেটই গেছে শ্রীলঙ্কার দুই বোলারের পকেটে—আসিথা ফার্নান্দো ও থারিন্দু রত্নায়েকে।
ইনিংস সংক্ষেপ (লাঞ্চ পর্যন্ত):
বাংলাদেশ: ৯০/৩ (২৮ ওভারে)
উইকেট পতন:
- ১-৫ (এনামুল, ওভার ৪.৩),
- ২-৩৯ (সাদমান, ওভার ১৪.৬),
- ৩-৪৫ (মমিনুল, ওভার ১৬.১)
অপরাজিত ব্যাটার:
নাজমুল হোসেন শান্ত ২৫*(৪৩ বল),
মুশফিকুর রহিম ২০*(৩১ বল)
উল্লেখযোগ্য বোলিং:
থারিন্দু রত্নায়েকে: ১০-০-৫২-২
আসিথা ফার্নান্দো: ৫-১-১২-১
দ্বিতীয় সেশনে শান্ত-মুশফিক জুটি কতোটা এগোতে পারে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বাংলাদেশের ইনিংস গতি ফিরে পাবে কিনা, তার অনেকটাই নির্ভর করছে এই দু’জনের ব্যাটে।