এশিয়া কাপ শুরুর আগে শক্তি-হীনতার ঘাটতি পূরণে ইংলিশ কোচ জুলিয়ান রস উডকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টি–টোয়েন্টিতে পাওয়ার হিটিংয়ের বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত উড প্রস্তুতি ক্যাম্পে কাজ করেছেন লিটন দাস, জাকের আলী, তানজিদ হাসান তামিম ও শামীম পাটোয়ারীর সঙ্গে। এমনকি নেদারল্যান্ডস সিরিজেও তিনি ছিলেন দলের পাশে।
তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস মনে করছেন, উডের শিক্ষা মাঠে তাত্ক্ষণিক ফল এনে দেবে এমনটা ভাবা উচিত নয়। বরং প্রথম ম্যাচের আগে তিনি সতীর্থদের বার্তা দিয়েছেন—ছক্কা মারার চেয়ে জরুরি হলো ‘স্মার্ট ক্রিকেট’ খেলা।
‘টি–টোয়েন্টিতে বড় ছক্কা মারা বাড়তি সুবিধা দেয়। যে কোনো সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের শুধু ছক্কার দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। ম্যাচের অবস্থা, প্রতিপক্ষের বোলিং আর মাঠের সীমারেখা বুঝে খেলতে হবে,’—ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেন লিটন।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, লিয়াম লিভিংস্টোন, ট্রাভিস হেড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও হেনরিখ ক্লাসেনরা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দিয়ে টি–টোয়েন্টিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন। তুলনায় এখনো অনেক পেছনে বাংলাদেশ। বড় টুর্নামেন্টগুলোতে এই ব্যবধান স্পষ্ট হয়েছে, যা মেটাতে উডের শরণাপন্ন হয়েছে বিসিবি।
আগস্টে বিসিবি আয়োজন করে বিশেষ ক্যাম্পের, যেখানে শুধু জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাই নয়, স্থানীয় কোচ ও নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কাজ করেন উড।
আসন্ন হংকং ম্যাচকে সামনে রেখে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সাম্প্রতিক টি–টোয়েন্টি সিরিজও আলোচনায় এসেছে। ওই সিরিজে বাংলাদেশ সহজেই জয় পেয়েছিল ৮ ও ৯ উইকেটে। তবে বড় জয়ের কারণে মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা খুব বেশি সময় ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি।
তবুও আশাবাদী লিটন, ‘সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে আমাদের টপ অর্ডার ভালো করেছে। মিডল অর্ডারের তেমন দায়িত্ব আসেনি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, যখন প্রয়োজন হবে, তখন ওরা দায়িত্ব নেবে। আগেও সেটা করেছে, আবারও করবে।’