খেলাধুলা

জহিরের শাস্তি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

জহিরের শাস্তি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া


জহির রায়হানের বহিষ্কারাদেশ নিয়ে আলোচনার মাঝে সাবেক এক স্প্রিন্টার বললেন, ‘আমার নাম উল্লেখ করে কিছু লিখবেন না। কোথায় না আবার জটিলতায় জড়িয়ে যাই!’ এ কথাতেই স্পষ্ট, অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যায়—এমন কথা বলতে ভয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। সে ভয়কে জয় করতে গিয়েই কি ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞার খড়্গে পড়লেন এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসে রুপাজয়ী স্প্রিন্টার জহির রায়হান?

উত্তরে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম কালবেলাকে বললেন, ‘গণমাধ্যমে কথা বলার কারণেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে—বিষয়টা এমন নয়। অনেকগুলো কারণের একটি ছিল সেটি। জাতীয় দলের ক্যাম্প ফেলে আলাদা অনুশীলন করতে চেয়েছে সে। ক্যাম্পের দায়িত্বশীলরা ডাকার পরও আসেনি। কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হলেও জবাব দেয়নি। শৃঙ্খলা রক্ষা করতে আমাদের সামনে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিকল্প ছিল না।’

জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে টানা নয়বারের স্বর্ণজয়ী জহির রায়হান। রুপা জিতেছেন এশিয়ান ইনডোর গেমসে। আসন্ন এসএ গেমসে এ স্প্রিন্টারকে ঘিরে বড় স্বপ্নই দেখা হচ্ছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে শাস্তিটা কমানো যেত না? প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বললেন, ‘ফেডারেশনের কর্মকর্তারা বলছিলেন, শাস্তিটা কম হয়ে যাচ্ছে। তার পরও আমরা ছয় মাসের জন্য তাকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করেছি।’

জহির রায়হানের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে যে রায় দেওয়া হয়েছে, এ সংক্রান্ত ক্ষোভের উৎপত্তি গত মার্চে বিশ্ব ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে। আসরের ৪০০ মিটারের হিটে বাদ পড়ার পর স্থানীয় এক গণমাধ্যমেকে বলেছিলেন, ‘(হিট থেকে) বিদায়ই আমাদের ভাগ্য। কারণ আমাদের জন্য অনুশীলনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে অনুশীলন করেছি। এভাবে কি পদক জয়ের স্বপ্ন দেখা যায়?’ বিকেএসপি থেকে উঠে আসা এ স্প্রিন্টারের এ কথা কিন্তু একেবারের অযৌক্তিকও নয়। বৈশ্বিক নানা আসরে অংশগ্রহণের আগে অ্যাথলেটদের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন ছিল, সেটা এখনো আছে। দিন বদলের গালগল্প শুনিয়ে ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের পথটা চওড়া করার প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না বেশিরভাগ ক্রীড়া ফেডারেশনে।

এদিকে জহির রায়হানের শাস্তির ইস্যুতে ক্ষোভ নিংড়ে দিলেও এ নিয়ে গণমাধ্যমে অন-রেকর্ড কিছু বলতে চাননি একাধিক সাবেক অ্যাথলেট। বর্তমানে কোচ হিসেবে কাজ করা তেমনই সাবেক এক ক্রীড়াবিদ কালবেলাকে বলছিলেন, ‘ফেডারেশনের মসনদ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে যে তৎপরতা লক্ষ করা যায়, তার সিকি আনাও খেলার উন্নয়নে দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ক্রীড়াবিদদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করা স্বাভাবিক। তাই বলে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে!’





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।