বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১৩তম আসর আয়োজন নিয়ে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। নিয়ম অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বরেই মাঠে গড়ানোর কথা দেশের সবচেয়ে জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগটির। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে থাকায় শুরুর সময় নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
বিপিএল আয়োজনের জন্য কমপক্ষে ৪৫ দিনের একটি সময় প্রয়োজন। সে হিসেবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শুরু হলে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত লিগ চলার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু নির্বাচনী আমেজে দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যস্ত থাকবে। এই বাস্তবতায় বিপিএলের মতো আন্তর্জাতিক তারকাসমৃদ্ধ একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন কতটা নিরাপদ ও বাস্তবসম্মত হবে—তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
বিসিবির ঘনিষ্ঠ সূত্র কালবেলাকে জানিয়েছে, ডিসেম্বরের জন্য একটি সম্ভাব্য স্লট রাখা হয়েছে, তবে সেটি জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। যদি সেই সময়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব না হয়, তবে বিকল্প পরিকল্পনা হিসেবে ২০২৬ সালের মে মাসে বিপিএল আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে।
এদিকে, টুর্নামেন্ট সামনে রেখে নতুন ভেন্যু নিয়ে ভাবছে বিসিবি। ইতোমধ্যে সিলেটের পাশাপাশি বগুড়াকে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে বিকল্প মাঠ ব্যবহার করা যায়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহায়তা নিয়ে দ্রুত বগুড়াকে প্রস্তুত করতে চায় বিসিবি।
এবারের আসরে অংশ নেওয়া দলগুলোর সঙ্গে ছয় বছরের চুক্তির পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে কয়টি দল অংশ নেবে বা আগের দলগুলোই থাকবে কিনা, এসব বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিসিবি চাইছে, বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের পরিধি ও সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে আয়োজনের মান আরও উন্নত করতে।