খেলাধুলা

নেপালের বিপক্ষে জিততে পারল না বাংলাদেশ

নেপালের বিপক্ষে জিততে পারল না বাংলাদেশ


অবশেষে চার বছর পর কাঠমান্ডুতে নেপালের বিপক্ষে হার এড়াতে পারল বাংলাদেশ। শনিবার ফিফা প্রীতি ম্যাচে জামাল ভূঁইয়ারা গোলশূন্য ড্র করেছে স্বাগতিকদের সঙ্গে। যদিও আশি-নব্বইয়ের দশকে নেপালের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয়ই ছিল নিয়মিত দৃশ্য, সময়ের পালাবদলে গত পাঁচ বছরে নেপালের বিপক্ষে কোনো জয় নেই লাল-সবুজদের। আজকের ড্র অন্তত সেই পরিসংখ্যানের ভার কিছুটা লাঘব করল।

অক্টোবরে শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়ান কাপ বাছাই। তার আগেই নিজেদের যাচাই করতে এই সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ ও নেপাল। প্রথম ম্যাচেই গোলশূন্য সমতায় শেষ করতে হয়েছে দুই দলকে। এতে অন্তত হারের শঙ্কা কাটিয়ে খানিকটা স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে লাল-সবুজরা।

২০২১ সালে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে ড্র করে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভেঙেছিল বাংলাদেশের। এর আগে ২০২১ সালের মার্চে কাঠমান্ডুতেই এক ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে নেপালের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। পরে একই টুর্নামেন্টে ড্র করেছিল দুই দল। সেই ধারাবাহিকতায় চার বছর পর আবারও নেপালে সমতায় থামল বাংলাদেশ।

ঢাকা আবাহনীর গোলরক্ষক সুজন হোসেন জাতীয় দলে অভিষেক ম্যাচে বেশ নির্ভরযোগ্য ছিলেন। নেপালের আক্রমণ ঠেকাতে বড় কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি তাকে। ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ এসেছিল ৩৬ মিনিটে। রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো ধরতে এগিয়ে আসা নেপালের গোলরক্ষক কিরণ বল ফসকালে বাংলাদেশি ফরোয়ার্ডের সামনে ফাঁকা পোস্ট ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলকভাবে গোছানো ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। বল দখল আর পাসিংয়ে পরিকল্পনার ছাপ ছিল স্পষ্ট। তবে ভারী মাঠে স্বাভাবিক খেলায় সমস্যা হয়েছে দুই দলেরই। মাঝে নেপালের কয়েকজন ফুটবলার আঘাত পেলেও বড় কোনো ইনজুরি হয়নি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে নেপালের খেলোয়াড়দের বেশ কিছুদিনের ঘরোয়া প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ান কোচ ম্যাট রসের অধীনে তাদের খেলার ধরনে উন্নতির ছাপ ছিল। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ মাঠে গড়াবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, সেখানেই নির্ধারণ হবে কাঠমান্ডু সফরের শেষ হাসি কে হাসবে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।