বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে কিছু দ্বৈরথ থাকে, যেগুলো সময়কে ছাড়িয়ে যায়। মেসি বনাম রোনালদো—তা ছিল শুধু এক যুগ নয়, এক অধ্যায়। সেই অধ্যায়ের শেষপ্রান্তে এসে মেসি এবার খোলামেলা বললেন তার অনুভূতির কথা।
‘এটা ছিল এক দারুণ লড়াই। আমরা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—আমরা একে অপরকে ঠেলে দিয়েছিলাম সেরা হওয়ার দিকে।’
২০০৮ থেকে ২০২৩। দুজন মিলে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন ১৩ বার। মেসি – ৮ আর রোনালদো – ৫। ক্লাসিকো হোক বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, গোলের পর গোল, শিরোপার পর শিরোপা—এই দুই কিংবদন্তির একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার তৃষ্ণাই ফুটবলকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য এক উচ্চতায়।
‘ব্যালন ডি’অরের হিসাব এখন অতীত। সত্যি বলতে কি, আমরা দুজনই দীর্ঘ সময় ধরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিলাম, এটা কোনো সাধারণ ব্যাপার না। টপে ওঠা সহজ, কিন্তু টিকে থাকা অনেক কঠিন।’
মেসি জানালেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা যতই তীব্র হোক না কেন, ভেতরে ছিল পারস্পরিক সম্মান। ‘সে সবসময় জিততে চাইত। আমিও। এটাই আমাদের তাড়িয়ে নিয়ে গেছে। আমরা একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করেছি, এবং সেই চ্যালেঞ্জেই বেড়ে উঠেছি।’
১৪-১৫ বছর ধরে এক মঞ্চে, এক আলোয়, বিশ্বজুড়ে কোটি ভক্তের শ্বাস বন্ধ করে দেওয়া মুহূর্তগুলো—মেসি জানেন, এটা শুধু তার কিংবা রোনালদোর কাহিনি নয়। এটা ছিল পুরো ফুটবল বিশ্বের একটি যুগ।
‘লড়াইটা শেষ হয়েছে। কিন্তু স্মৃতিগুলো রয়ে গেছে। এটা শুধু আমাদের নয়, প্রতিটি ফুটবলপ্রেমীর জন্যই ছিল একটা স্বর্ণযুগ।’
‘একটা সময় ছিল, যেখানে আমরা দুজনই ইতিহাস লিখছিলাম—পাশাপাশি, প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে। আজ সেই ইতিহাসই হয়ে উঠেছে স্মরণীয়।’
মেসি-রোনালদো যুগ শেষ। কিন্তু তারা রেখে গেলেন এমন এক ছায়া, যেখানে আজও দাঁড়িয়ে আছে ফুটবল—অভিভূত, ঋদ্ধ।
for Messi & for Ronaldo.Messi displays on his immense rivalry with Ronaldo for the Ballon d’Or. Between 2008 and 2023, they gained the trophy 13 instances! What’s your favorite reminiscence of the battle between the 2 most profitable Ballon d’Or winners?#ballondor pic.twitter.com/9CVkK1pqwn— Ballon d’Or (@ballondor) May 17, 2025