অফিস কক্ষ নেই, নেই ভেন্যু। তারপরও থেমে নেই বাস্কেটবলের কার্যক্রম। ‘নেই…, নেই…’ শব্দটা টেবিল টেনিসেও আছে। শূন্য হাতে লড়াইয়ে নামতে হয়েছে সরকার গঠিত অ্যাডহক কমিটিকে। এ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জানালেন, অনেক কিছুই নেই। তার পরও কার্যক্রম থেমে থাকবে না।
দায়িত্ব গ্রহণের পর তহবিল শূন্য ছিল। কিছুদিন পর এসে হাজির হয়েছে পাওনাদার। শূন্য হাতটা মাইনাসে পরিণত হয়েছে। বিগত দিনে টেবিল টেনিসে আসা অর্থ কোন খাতে গেছে, কোন প্রক্রিয়ায় ব্যয় হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে বর্তমান কমিটি। পাশাপাশি খেলাটির ভবিষ্যৎ মসৃণ করতে ঘরে-বাইরে কাজও সচল রাখার কথা জানানো হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক যুব চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের এ প্রতিযোগিতায় খেলা হবে অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-১৫ বিভাগে। বয়সভিত্তিক এ আসরে গত কয়েক বছর রামহিম লিওন বম ও মুহতাসিন আহমেদ হৃদয় নিয়মিত খেলেছেন। বয়সের কারণে এবার তারা খেলতে পারছেন না। তারপরও বাংলাদেশ ভালো করবে বলেই আশাবাদ ফেডারেশন কর্মকর্তা ও কোচ মোস্তফা বিল্লাহর।
‘এ প্রতিযোগিতা সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি মার্চ মাসে। এটা জানতে পেরেছি যে, এ আসর এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের যোগ্যতা অর্জনের মঞ্চ। রমজান ও ঈদের কারণে আমাদের প্রস্তুতি বিঘ্নিত হয়েছে। তারপরও আমরা সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী। ভালো করার বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা অবশ্য দিতে পারছি না’—সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন বাংলাদেশ টেবিলের টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ এম মাকসুদ আহমেদ (সনেট)।
দলের কোচ মোস্তফা বিল্লাহ বলছিলেন, ‘হৃদয় ও রামহিম নেই। তার পরও অনূর্ধ্ব-১৯ দলটি নিয়ে আমরা আশাবাদী। এ প্রতিযোগিতার দলগত বিভাগে ভারত নেই। ব্যক্তিগত বিভাগে কিন্তু দেশটি খেলছে। আশা করছি, আমরা বিগত বছরের মতো ফাইনাল খেলতে পারব।’
দায়িত্ব গ্রহণের পর ফেডারেশনের তহবিল এবং স্টোররুমে রক্ষিত মালপত্র সম্পর্কে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলছিলেন, ‘নিরীক্ষার মাধ্যমে সবকিছু পরিষ্কার হওয়া যাবে। এ সংক্রান্ত কাজ চলছে। যতক্ষণ না কেউ অভিযুক্ত হচ্ছেন, তাকে নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে রাজি নই।’ যোগ করেন, ‘অর্থকড়ি কোনো সমস্যা হবে না। আমরা ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক কার্যক্রম এমনভাবে সাজাচ্ছি, যাতে খেলোয়াড়রা নিয়মিত অনুশীলনের পাশাপাশি খেলার মধ্যে থাকতে পারেন।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়া ফেডারেশনের সভাপতি শামসুজ্জামানও জানালেন অর্থকড়ির কারণে কোনো কার্যক্রম থেমে থাকবে না।
Source link