নতুন করে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, কিন্তু হয়তো আর ফিরে আসা হলো না সেই পুরনো রূপে। চোট, অল্প সময় মাঠে থাকা, আর এবার অদ্ভুত এক লাল কার্ড—সব মিলিয়ে সান্তোসে নেইমারের ‘ফেয়ারি টেল’ ফেরা যেন পরিণত হলো দুঃস্বপ্নে।
গত সপ্তাহান্তে বোটাফোগোর বিপক্ষে ম্যাচে ৩৩ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার সরাসরি লাল কার্ড দেখেছেন। প্রথমে একটি কড়া ট্যাকেলের জন্য হলুদ কার্ড, এরপর দ্বিতীয়টি হাত দিয়ে গোল করার চেষ্টায়। রেফারি বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করেই তাকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আগামী ১২ জুন ফোর্তালেজার বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারবেন না নেইমার। আর তার চেয়েও বড় বিষয় হলো—আগামী ৩০ জুন শেষ হচ্ছে তার চুক্তি। এখনো পর্যন্ত চুক্তি নবায়নের কোনো ইঙ্গিত মেলেনি। অর্থাৎ, এটা হতে পারে সান্তোসের জার্সিতে নেইমারের শেষ ম্যাচ!
ক্লাব কিংবদন্তি হিসেবে ফেরার পর অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সেই প্রত্যাশার বড় অংশই রয়ে গেছে অপূর্ণ। দু’টি মাসল ইনজুরি, গুটিকয়েক ম্যাচে খেলা, আর সামান্য কিছু জাদুকরী মুহূর্ত বাদ দিলে নিজেকে খুঁজে পাননি আগের নেইমার। বোটাফোগোর বিপক্ষেও শুরুটা ছিল উজ্জ্বল—প্রথম দিকেই পেনাল্টির আবেদন, বক্সে আগ্রাসী ঢুকে পড়া—কিন্তু ধীরে ধীরে হারিয়ে যান ম্যাচ থেকে।
শুধু নেইমার নয়, গোটা দলই এখন গভীর সমস্যায়। ১১ ম্যাচে মাত্র ২টি জয়, পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকেই পড়ে আছে সান্তোস। অবনমনের শঙ্কা বাস্তব হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় দলের সেরা তারকাকে হারানো মানে আরও অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে যাওয়া।
নেইমারের হাত দিয়ে গোলের প্রচেষ্টায় মাঠে থাকা দর্শকদের বড় অংশই অসন্তোষ প্রকাশ করে। এমনকি তার সতীর্থরাও বিস্মিত হয়েছিলেন সেই কাণ্ডে। মাঠ ছাড়ার সময় নেইমার ছিলেন হতাশ ও রাগান্বিত।
২০১৩ সালে যেখান থেকে ইউরোপের যাত্রা শুরু করেছিলেন, সেই ক্লাবেই ফিরে এসেছিলেন এক দশক পর। কেউ ভেবেছিল সোনালি সমাপ্তি হবে, কেউ ভেবেছিল নেইমার হবেন দলের ত্রাণকর্তা। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে এক লাল কার্ড হয়তো চিরতরে লিখে দিল সান্তোসে নেইমারের শেষ অধ্যায়।
চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা যদি মিলেও না আসে, তবে তার শেষ ম্যাচটা যে ছিল স্মরণীয়—তা নয়, বরং ভুলে যেতে চাওয়া এক মুহূর্ত। আর এটাই হয়তো সবচেয়ে বেশি কষ্টদায়ক, একজন ক্লাব কিংবদন্তির জন্য।
Valeu, Neymar!! Sem a sua ajuda seria difícil! Hahahaha pic.twitter.com/dBFknLiHdq— Pedro Dep – Setor Visitante (@setorvisitante) June 1, 2025