অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম বুলবুলও। সম্প্রতি বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে সভাপতি হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি। তার আগেই নিরাপত্তা শঙ্কায় পড়েছেন বুলবুল। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ফোনে হুমকি পেয়ে থানায় জিডি করেছেন সাবেক এ ক্রিকেটার। এরই মধ্যে তার নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে গানম্যান নিয়োগের জন্য আবেদন করেছে বিসিবিও। বৃহস্পতিবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজাম উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তবে চিঠিতে হুমকি পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেনি বিসিবি।
বিসিবি থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আসন্ন পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন-২০২৫ আয়োজনের বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে সভাপতির নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া তাকে বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বোর্ড সভাপতির দৈনন্দিন যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গানম্যান নিয়োজিতকরণ আবশ্যক।’ যদিও বিসিবি সভাপতি নিজেই একটি গণমাধ্যমকে বলছেন, তাকে ফোনের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ফোন দিয়ে বলা হয় ‘ইলেকশন না করলে হয় না? না করলে ভালো হয় আর কি।’ নিরাপত্তার বিষয়টি বড় ব্যাপার, ভয় লাগছে। ২-৩ দিন আগে এ ফোন এসেছিল।’
বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যখন সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঠিক তখন বর্তমান প্রেসিডেন্টকে এমন ফোনের মাধ্যমে হুমকি কিছুটা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের দিকেও এর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে বলাই চলে। তবে বিসিবির অতীত ইতিহাস বলছে, এ ধরনের হুমকি আগের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের কেউ পাননি। এবারই দেখা গেল এমন ঘটনা।
বিসিবি নির্বাচনে এবার বুলবুল ছাড়াও অংশ নিচ্ছেন অনেকেই। তবে প্রেসিডেন্ট পদে দেখা যেতে পারে তামিম ইকবালকে। পরিচালক নির্বাচিত হলেই প্রেসিডেন্ট হতে লড়বেন তিনি। এমন ইঙ্গিত এরই মধ্যে দিয়েছেন সাবেক এ অধিনায়ক। তামিমের পক্ষেও ভালো জনমত দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার ক্লাবগুলো তামিমকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায় বলে জানা গেছে। সেভাবেই নির্বাচনী রূপরেখা তৈরি করেছেন তামিমও। শেষ পর্যন্ত তামিম-বুলবুল লড়াইয়ে আরও কেউ অংশ নিতে পারেন কি না, তা সময় বলে দেবে। তবে আপাতত প্রেসিডেন্ট বুলবুলকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি নির্বাচনে কীরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়।