খেলাধুলা

২৬ বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারে যা বললেন মেসি

২৬ বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারে যা বললেন মেসি


লিওনেল মেসি তার ষষ্ঠ বিশ্বকাপে অংশ নেবেন কি না, সেটি নিয়ে জল্পনা চলছে বহুদিন ধরেই। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই ভক্তরা তাকিয়ে ছিলেন তার পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে। অবশেষে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে মুখ খুললেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

সম্প্রতি সাবেক ফুটবলার এনরিকে উলফের সঙ্গে ‘সিমপ্লেমেন্তে ফুটবল’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, সময়টা এখনও অনেক দূরের মনে হলেও সময় খুব দ্রুত চলে যায়। আমি কীভাবে অনুভব করি, সেটাই আসল বিষয়। অবশ্যই সেটা মাথায় আসে, তবে আমি এখনই কোনো লক্ষ্য ঠিক করতে চাই না।’

তবে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সিদ্ধান্তের জন্য কোন বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ— এমন প্রশ্নের জবাবে মেসি স্পষ্ট করে বলেন, ‘এই বছরটাই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত খেলা এবং ভালো অনুভব করাই মূল চাবিকাঠি। আমি প্রতিদিনের পারফরম্যান্স আর শারীরিক অবস্থা দেখে সামনে এগোতে চাই।’

ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলার পাশাপাশি ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া, দীর্ঘ মৌসুম—সব মিলিয়ে নিজের ফিটনেস ধরে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন মেসি। তিনি জানান, ‘এই বছরটা ভালোভাবে শুরু করেছি। ভালো একটি প্রিসিজন কাটিয়েছি। কিন্তু মৌসুমটা অনেক লম্বা—ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে, মাঝখানে কোনো বিরতি নেই। জুনে আবার ক্লাব বিশ্বকাপ, আরও ম্যাচ খেলা লাগবে।’

২০২৪ কোপা আমেরিকায় চোটের কারণে ভুগেছেন মেসি। দ্বিতীয় ম্যাচেই চিলির বিপক্ষে চোট পান। এরপর পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেননি। ইকুয়েডরের বিপক্ষে শতভাগ ফিট না হয়েও খেলেন। কিন্তু কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ভালো শুরু করেও দ্বিতীয়ার্ধে গোঁড়ালির চোটে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে মেসি বলেন, ‘এভাবে শেষ হওয়া আমার জন্য কষ্টের ছিল।’

তবে জাতীয় দলের প্রতি তার ভালোবাসা অটুট। তিনি বলেন, ‘এই দলটা যা করেছে, এবং এখনো করছে, সেটা অবিশ্বাস্য। এর অংশ হতে পারাটা আনন্দের।’

যদি মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশ নেন, তাহলে তিনিই হবেন ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড়, যিনি ছয়টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন। এর আগে তিনি ২০০৬, ২০১০, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২২ বিশ্বকাপে খেলেছেন। তার সঙ্গে একই তালিকায় আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, লোথার ম্যাথাউস, জিয়ানলুইজি বুফনদের মতো তারকারা।

২০২৬ বিশ্বকাপ যদি সত্যিই হয় মেসির শেষ নাচ, তাহলে সেটা হতে পারে ফুটবল ইতিহাসের আরেকটি রূপকথার অধ্যায়।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।