খেলাধুলা

৪৬ লাখ টাকায় কেনা হলো কলা! বিসিসিআইকে হাইকোর্টের আইনি নোটিশ

৪৬ লাখ টাকায় কেনা হলো কলা! বিসিসিআইকে হাইকোর্টের আইনি নোটিশ


খেলোয়াড়দের জন্য একেবারে প্রয়োজনীয় এক খাবার কলা। সেটি কিনতে গিয়ে কলার বিল কত হতে পারে? ৫০০, ৫ হাজার বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা? কিন্তু উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন নাকি দেখিয়েছে একেবারে ৩৫ লাখ রুপি (প্রায় ৪৬ লাখ টাকা)! হ্যাঁ, ভুল পড়েননি—কলার খাতেই লাখ লাখ উড়ে গেছে। আর এই অস্বাভাবিক খরচের অভিযোগেই উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট এবার বিসিসিআইকে জবাবদিহির নোটিশ ধরিয়ে দিয়েছে।

ভারতের উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট রাজে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব উত্তরাখণ্ডের (সিএইউ) আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)-কে নোটিশ জারি করেছে। অভিযোগ উঠেছে—খেলোয়াড়দের খাবারের নামে বিপুল অঙ্কের অর্থ গায়েব করা হয়েছে, যার মধ্যে শুধু কলার খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ রুপি (প্রায় ৪৬ লাখ টাকা)।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিএইউ’র অডিট রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বরাদ্দ প্রায় ১২ কোটি রুপি (প্রায় ১৫.৮ কোটি টাকা) এর অপব্যবহার হয়েছে। অডিটে দেখা গেছে, শুধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের খরচ দেখানো হয়েছে ৬.৪ কোটি রুপি (৮.৪ কোটি টাকা) এবং টুর্নামেন্ট ও ট্রায়াল খাতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ২৬.৩ কোটি রুপি (৩৪.৬ কোটি টাকা), যা আগের বছরের ২২.৩ কোটি রুপি (২৯.৩ কোটি টাকা) থেকে অনেক বেশি।

ডেরাদুনের বাসিন্দা সঞ্জয় রাওয়াতসহ একাধিক ব্যক্তি এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। তাদের অভিযোগ, খাবারের নামে কোটির পর কোটি টাকা তোলা হলেও খেলোয়াড়রা সেসব সুবিধা কখনোই পাননি। এ নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে, এসব বিতর্কের মাঝেই বিসিসিআই তাদের আর্থিক শক্তিমত্তার প্রমাণ দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে সংস্থাটির ব্যালেন্সে যোগ হয়েছে ১৪,৬২৭ কোটি রুপি (প্রায় ২০০০০ কোটি টাকা)। শুধু ২০২৪ অর্থবছরেই আয় বেড়েছে ৪,১৯৩ কোটি রুপি (প্রায় ৫.৫ হাজার কোটি টাকা)। ফলে বিসিসিআইয়ের ব্যাংক ব্যালেন্স দাঁড়িয়েছে ২০,৬৮৬ কোটি রুপি (প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা)।

২০২৪ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় জমা দেওয়া হিসাবে জানানো হয়, ২০১৯ সালে বিসিসিআইয়ের সাধারণ তহবিল ছিল ৩,৯০৬ কোটি রুপি (প্রায় ৫১৬০ কোটি টাকা)। সেটি বেড়ে ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৭,৯৮৮ কোটি রুপি (প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা)।

সবমিলিয়ে, বিসিসিআই যখন রেকর্ড আয়ের গর্ব করছে, তখন রাজ্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে এমন অভিযোগ ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।